Last Updated on January 26, 2021 9:58 PM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। নয়াদিল্লি। লাঠিচার্জ, কাদানে গ্যাস ,জল কামান। কোনো কিছুইতে বাঁধ মানেনি কৃষকদের মিছিল। শেষ পর্যন্ত দিল্লিতে কৃষি আইনের প্রতিবাদে লক্ষ লক্ষ কৃষকদের মিছিল রুখতে গুলি চালালো মোদি সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ। সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল রুখতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেল এক কৃষকের। কৃষক ও পুলিশের সংঘর্ষে আহত হয় বহু কৃষক। রাজধানীর বুকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দেশের ৭২তম সাধারণতন্ত্র দিবসে নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে ট্রাক্টর নিয়ে মিছিল করার পরিকল্পনা করেছিল কৃষকরা। সায় দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টও। কেন্দ্রীয় সরকার যাতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা না দেয়, এমনই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ কৃষক মঙ্গলবার ভোররাত থেকেই ট্র্যাক্টর নিয়ে জড়ো হন দিল্লির প্রান্তে। সকাল হতেই লালকেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয় কৃষকরা। দিল্লি পুলিশের বাধা অতিক্রম করে এদিন প্রতিবাদী কৃষকরা লালকেল্লার দেওয়াল টপকে পতাকা তোলেন । সুপ্রিম কোর্টের বারণ সত্ত্বেও পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিল রোখার চেষ্টা করে ও রাজধানীতে প্রবেশে বাধা দেয়। আর তাতেই পরিস্তিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও লাঠি চার্জ করে কৃষকদের হঠানোর চেষ্টা করে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হন কৃষকরা। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে পাল্টা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। ইট-পাথর ছুঁড়ে পুলিশকে আক্রমণ করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে অভিযোগ। এরপরে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক রূপ নেয়। দিল্লি পুলিশের নির্মম অত্যাচার শুরু হয় কৃষকদের উপরে। সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ করেছেন কৃষক নেতারা। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এটি স্রেফ একটি দুর্ঘটনা মাত্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজের বাড়িতে ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের কমিশনারের সঙ্গে জরুরী বৈঠকে বসেছেন। যেখানে আজকের পরিস্থিতি সম্পর্কে তাকে জানাবে পুলিশ।