Last Updated on October 13, 2021 10:52 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। মুম্বই। মাদক কাণ্ডে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানকে গ্রেফতার করে দিনের পর দিন জেলে আটকে রাখার পেছনে কেন্দ্র সরকারের প্রতিহিংসামূলক নীতি এবং মুসলমান বিরোধী নীতি রয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। শত্রুঘ্নর আক্ষেপ, শাহরুখের এই কঠিন সময়ে বলিউডের সহকর্মীরা তাঁর পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন না। তাঁর কথায়, কেউ এগিয়ে আসছে না। সবাই ভাবছে এটা শাহরুখের সমস্যা। ও বুঝে নিক। ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই ভিতু। কেউ এগিয়ে আসতে চায় না। প্রত্যেকেই মনে করে যে এটি অন্য লোকের সমস্যা এবং তার এটি মোকাবিলা করা উচিত। তারা চায় যে ব্যক্তি তার নিজের যুদ্ধ লড়ুক। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এখন শুধু একগুচ্ছ ভীতু লোক। শুধু গদি মিডিয়ার মতো তারাও গদি শিল্পী।
শাহরুখের ছেলে বলেই টার্গেটে আরিয়ান
শত্রুঘ্ন সিনহা কার্যত কোনো রাখঢাক না করেই বলেন, আরিয়ান খানকে টার্গেট করা হচ্ছে শুধুমাত্র শাহরুখ খানের ছেলে বলে। আমি এটা বলছি না যে এই সমস্ত ঘটনা উনার ধর্মের জন্য হচ্ছে, তবে আমি বলতে চাই, কিছু মানুষ শাহরুখ খানের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি শুরু করেছেন যেটা কখনোই সঠিক নয়। আমরা কিন্তু সকলেই ভারতীয় এবং আমরা সকলেই ভারত মাতার সন্তান। আমরা সকলেই ভারতীয় আইনের পালন করি। শাহরুখ খান হলো একমাত্র কারন যার জন্য আরিয়ানকে টার্গেট করা হচ্ছে। আরো অনেক নাম আছে এই ড্রাগ কাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে। এদের মধ্যে আছে আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচা, কিন্তু তাদের নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছে না। আগেরবার যখন এরকম একটি মামলা ঘটেছিল তখন দীপিকা পাড়ুকোনকে টার্গেট করা হয়েছিল। কিন্তু ওই মামলার সঙ্গে আরও অনেক নাম জড়িয়েছিল, কিন্তু তাদেরকে নিয়ে কোনো কথা বলা হয়নি। এইবারে এই টার্গেট শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ানের সঙ্গে। শুধুমাত্র একটাই কারণ, আরিয়ান খান শাহরুখ খানের সন্তান এবং এই কারণেই তাকে টার্গেট করতে শুরু করেছে।

মাদক কাণ্ডের পিছনে ভাজপার চক্রান্ত
শারদ পাওয়ারের দল এনসিপি রাজ্য সভাপতি নবাব মালিক আরিয়ানকে গ্রেফতারের দিন ভাজপা নেতাদের উপস্থিত থাকা এবং মহারাষ্ট্রের ভাজপা নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের গ্রেফতার করেও ছেড়ে দেওয়ার যে তথ্য সামনে এনেছেন সেই প্রসঙ্গ তুলে শত্রুঘ্ন বলেন, নবাব মালিকের প্রতি শাহরুখের কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত কারণ তিনি এনসিবির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ভাজপার সঙ্গে যুক্ত দুইজনকে এনসিবির কার্যালয়ে দেখা গিয়েছিল সেটা নিয়ে মালিক কথা বলেছিলেন। এনসিবি যার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য, যিনি এই মামলার অন্যতম পক্ষ ছিলেন, তিনি এনসিবি কার্যালয়ে ঘুরে বেড়ান। কে তাকে এবং অন্য ব্যক্তিকে অনুমতি দিয়েছে, যার একটি অপরাধমূলক রেকর্ড আছে? বড় প্রশ্ন হল, মামলার তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই কেন তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হল? অপরাধী রেকর্ডের লোকটি আরিয়ান খানের সাথে আনন্দের সাথে একটি সেলফি তুলছিল, য্যায়সে কি ওহ ঘর কা দমদ থা! আমরা এটাও জানি যে এনসিবি কোন মাদক খুঁজে পায়নি অথবা কোন অপরাধমূলক উপাদান পায়নি। এমনকি যদি তারা কোন ড্রাগ খুঁজে পায়, তবে শাস্তি সর্বাধিক এক বছর কিন্তু এই ক্ষেত্রে এটি উত্থাপিত হয় না। আরিয়ান এবং অন্যদের গ্রেপ্তারের পর আরেকটি বড় প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন, কেন প্রস্রাব এবং রক্ত পরীক্ষা করা হয়নি? এটি সাধারণত এই ধরণের ক্ষেত্রে করা হয়।