Last Updated on November 3, 2020 12:42 AM by Khabar365Din


৩৬৫ দিন নয়াদিল্লি। তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে কারাে নাম সরিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আপনাদের কে দিয়েছে? সংবিধানে তাে নির্বাচন কমিশনকে এতটা ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। এভাবেই বিরােধী রাজনৈতিক দলগুলির বিষয় নির্বাচন কমিশনের অতি সক্রিয়তা প্রসঙ্গে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি এস এ বােবদে। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ তারকা প্রচারক স্ট্যাটাস কেড়ে নেওয়ার মামলায় স্পষ্ট করে একথা জানিয়ে দিলাে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। গত শনিবার নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযােগে তারকা প্রচারক হিসেবে কমল নাথের নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কমল নাথ।এই বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এয়ার কোথায় সে প্রশ্নও তুলেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
শুধু তাই নয় কার নির্দেশে জাতীয় নির্বাচন কমিশন নিজেদের ক্ষমতা বহির্ভূত এমন সিদ্ধান্ত ঘােষণা করল তা নিয়েও জবাবদিহি করতে নির্দেশ দিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি বলেন, এর উপর আমরা স্থগিতাদেশ দিলাম, যেহেতু এই সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়ার কোন এয়ার বা ক্ষমতা কমিশনের নেই। দেশের প্রধান বিচারপতি এস এ বােবদের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ এদিন কমিশনের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছে, রিপ্রেজেন্টেশন অব পিপলস অ্যাক্টের ৭৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী দলের নেতা কে হবেন, সে সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত। নেওয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের কোথায় রয়েছে? প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের মতে তারকা প্রচারক কে হবেন, সে সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের রয়েছে। নির্বাচন কমিশন তা ঠিক করে দিতে পারে না। এটা দেশের বহুদলীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতির লংঘন করা হয়। জাতীয় নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা না নিয়ে কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপির শাখা সংগঠনের ভূমিকা গ্রহণ করেছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযােগ করে আসছে দেশের প্রধান বিরােধী রাজনৈতিক দলগুলি। প্রসঙ্গত বিহার বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে ভােটে জিতল বিনামূল্যে বিহারের সমস্ত নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘােষণা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে দেশের প্রায় সমস্ত বিরােধী রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয় বিজেপি কোন বিধি ভঙ্গ করে নি।