Last Updated on August 17, 2021 8:48 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। নয়াদিল্লি। দীর্ঘদিন সিপিএমের বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করে এবং গত প্রায় এক দশক ধরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে মমতা দিদি যে বিপুল উন্নয়নের কাজ করেছেন, তা আমার অনুপ্রেরণা। মমতা দিদির কাজের অনুপ্রেরণায় তৃণমূলে যোগ দিয়ে তার নেতৃত্বে এবং অভিষেকের গাইডেন্সে দল আমাকে যে দায়িত্ব দেবে তা পালন করব। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরের দিন দিল্লিতে প্রেস কনফারেন্স করে তৃণমূলের প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করলেন গতকাল পর্যন্ত কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মহিলা সভানেত্রী পদে থাকা সুস্মিতা দেব। তবে একই সঙ্গে আজ তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের পাশে বসে সুস্মিতা জানিয়ে দিলেন, আমাকে দল যেমন ভাবে দায়িত্ব দেবে তা পালন করব। তবে যারা আমাকে জানেন না চেনেন, আমি সংগঠনের কাজ করতে বেশি ভালোবাসি। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক এবং রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন তাতে আমি ধন্য। অভিষেকের দলের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত পরিস্কার। আমি বিনা শর্তে তৃণমূলে যোগদান করেছি। মমতা দিদির প্রতি আমার ভরসা আছে।
আমি যখন ২০০৬ সালে প্র্যাক্টিস করছিলাম তখন ২৬ দিনের মমতা দিদি অনশন করছিলেন। একজন মহিলার পক্ষে যে ঘটনা বিরল। আমি যখন সংসদে ছিলাম বাম দিকে তাকিয়ে দেখতাম সবচেয়ে বেশি মহিলা সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসে। যা অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক। তবে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসলেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোনো ক্ষোভ নেই জানিয়ে সুস্মিতা বলেন, আমার কাজটা একই থাকবে। দলটা বদলে গেছে। আমার দেশের মানুষের প্রতি আমি দায়বদ্ধ। আমার সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর সাথে সম্পর্ক কখনও খারাপ হবে না। ওনাদের আমি শ্রদ্ধা করি।উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা এবং অসমের পাশাপাশি বাকি রাজ্যগুলিতে সংগঠন বিস্তারের পরিকল্পনার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। গতকাল অসম এবং ত্রিপুরার অত্যন্ত প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত সন্তোষ মোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেব তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে উত্তর-পূর্ব ভারতে তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারের ক্ষেত্রে বড় রদবদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।