Last Updated on December 11, 2021 11:14 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। পানাজি। গোয়াতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাকি রয়েছে মাত্র মাস দুয়েক সময়। তার মধ্যেই চলতি সপ্তাহে আবার গোয়া সফরে যাচ্ছেন মমতা। এবারে তার সঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ভাজপা শাসিত গোয়াতে ভাজপা এবং কংগ্রেস যেখানে জাতপাতের বিভাজনের রাজনীতির প্রেক্ষিতে ভোট ব্যাংকের হিসাব কষছে, তার মধ্যেই তৃণমূলের বাজি বাংলাতে মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে গত দুই দফায় সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কোন কোন উন্নয়ন করেছেন তা মডেল হিসেবে সামনে রেখে সেই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি গোয়ার মানুষকে দেওয়ার।
সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে বাংলা মডেল অনুসরণ করে লক্ষ্মীর ভান্ডারের আদলেই তৃণমূল ক্ষমতায় এলেই গোয়াতেও চালু হবে একই গৃহলক্ষ্মী স্কিম। আজ তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবেই এই ঘোষণা করে দেওয়া হল৷ গোয়াতে তৃণমূলের ইনচার্জ হিসেবে নিযুক্ত সাংসদ মহুয়া মৈত্র আজ গোয়ার তৃণমূল নেতাদের পাশে নিয়ে ঘোষণা করেন, তৃণমূল ক্ষমতায় এলে গোয়ায় পরিবার পিছু একজন করে মহিলা মাসিক পাঁচ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন৷ ক্ষমতায় আসার একশো দিনের মধ্যে তৃণমূল এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করবে বলে প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে৷
গোয়ার তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, প্রতি মাসে গোয়ার প্রত্যেক পরিবারকে নিশ্চিত আর্থিক সমর্থনের জন্য গৃহলক্ষ্মী কার্ড নিয়ে আসা হল৷ এই প্রকল্পে প্রত্যেক পরিবারের একজন করে মহিলার অ্যাকাউন্টে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা বা বছরে ৬০ হাজার টাকা সরাসরি পাঠিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷ কীভাবে গৃহলক্ষ্মী কার্ড সংগ্রহ করে গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে হবে, ট্যুইটে তাও বিশদে জানানো হয়েছে৷ নিছক প্রতিশ্রুতি নয়, তৃণমূল যে সত্যিই এই প্রকল্প কার্যকর করবে, তার জন্য এখন থেকেই দলীয় কর্মীদের মাধ্যমে গৃহলক্ষ্মী কার্ড বিলি করে নাম নথিভুক্তির কাজও শুরু করে দিচ্ছে গোয়া তৃণমূল৷
বাংলায় যেভাবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির লক্ষীর ভান্ডার এর টানে ভোটবাক্সে মহিলাদের ভোটদানের উৎসাহ বেড়েছিল বহুগুণে, ঠিক সেভাবেই গোয়ার মোট ভোটারের ৫১ শতাংশ যেখানে মহিলা ভোটার সে ক্ষেত্রে তৃণমূলের এই প্রাক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, গোয়ার ৩.৫ লক্ষ পরিবারকে মাসে ৫ হাজার করে বছরে ৬০ হাজার টাকা দিতে রাজ্য বাজেটের ৬ থেকে ৮% খরচ হবে। এর পরিমাণ সব মিলিয়ে ১৫০০ থেকে ২ হাজার কোটি টাকার মতো হবে বলেও জানিয়েছে তারা।