৩৬৫ দিন | আগরতলা | অসমের বন্যা দুর্গতদের জন্য দিনভর ত্রান বিলি করলো প্রদেশ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা |কাছাড়ের ভয়াবহ বন্যায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এই সব ত্রান সামগ্রী তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর পক্ষ থেকে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সুস্মিতা দেব ও সুবল ভৌমিক।
তারা বুধবারই ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে গেছিলো | বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সেই ত্রাণ সামগ্রীই বিতরণ করা হয় শিলচর সহ কাছারের বেশ কিছু জায়গাতে | বিভিন্ন জেলায় প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ২৫ জনের একটি বিশেষ টিম এই ত্রাণ বিলি করছে । এই দলের সাথে রয়েছেন স্টেট ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রদেশ সভাপতি সুবল ভৌমিক ,সাংসদ সুস্মিতা দেব সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
রাজ্য পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন তারা যে ত্রাণ নিয়ে এসেছেন তা বন্যার ব্যাপকতায় কিছুই নোই | তবে এই ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যে যা পারে তাই কাজে লাগবে | সেইমতোই আমরা যতটা পেরেছি সেইমতো ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে |
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুবল ভৌমিক বলেছেন, “আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা নিয়েছি যে অন্তত ৩,০০০ পরিবারকে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং দরিদ্রদের জন্য শাড়ি, কাপড় দিয়ে তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এখান থেকে একটা ট্রাক এবং ধর্মনগর থেকে আরেকটা ট্রাক যাবে। আসাম রাজ্য এক ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছে। আমরা ওখানকার জনসাধারণের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি।”
এদিকে গৌহাটি থেকে একেবারে আগরতলা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে জাতীয় সড়কের অবস্থা বেহাল পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে সড়ক পথে রাজ্যের সাথে যোগাযোগ প্রায়সই ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এলাকার মানুষের অভিযোগ সড়ক মেরামতি না হলে কোন পণ্য নিয়ে আসা যাচ্ছে না । এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা মাঠঘাট গরম করে প্রচার করছে রাজ্যের ঢালাও উন্নয়নের।
আশ্চর্যর বিষয় হচ্ছে রাজ্যের উন্নয়নের ঢোল পেটার সাথে বাস্তব চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। রাজ্যের মানুষ ক্রমে ক্রমেই শাসক হিমন্ত এর ভাজপার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। অভিযোগ গ ত বিধানসভা নির্বাচনের পরথেকে এখন পর্যন্ত সারে চার বছরে সেই এলাকায় কোন উন্নয়ন করেনি জোট সরকার।