অভিষেকের চ্যালেঞ্জ,
২৩ এ ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসছি

0

Last Updated on August 2, 2021 8:36 PM by Khabar365Din

বিপ্লববাবু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর লেটার হেড ছাপিয়ে রাখুন

নেত্রী মমতা আসবেন

আমি বার বার আসব


আগরতলা থেকে

রিপোর্ট : সৌগত মণ্ডল | ছবি : অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়


৩৬৫ দিন।‌ বাংলার পরে অভিষেকের টার্গেট ত্রিপুরা। আজ সকালে আগরতলায় পৌঁছে মা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে ত্রিপুরায় নিজের প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে দীর্ঘ প্রায় দেড় ঘন্টার প্রেস কনফারেন্স করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ২০২৩ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন। অভিষেক আজ সরাসরি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নাম করে হুঁশিয়ারি দেন, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে বলতে চাই আপনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর লেটারহেড ছাপিয়ে রাখুন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের এখানে সরকার গঠন করবে তৃণমূল। লড়াই আজ থেকে শুরু হল। আজকের তারিখ লিখে রাখুন, ত্রিপুরায় দেড় বছরের মধ্যে ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল। জহ্লাদদের উল্লাসমঞ্চে পরিণত করেছে বিজেপি। বিপ্লব দেব ও বিজেপির ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখাক। আমার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, ত্রিপুরায় অতিথি দেব ভবঃ-র নামে যে ঘটনা ঘটেছে, সবাই দেখেছে। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে কর্মসূচি শুরু করতে চেয়েছিলাম। মা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যাতে না পৌঁছতে পারি, তার জন্য সবরকম চেষ্টা করেছে বিজেপি। লাঠি, বাঁশ, রড দিয়ে মারা হয়েছে। আমার সঙ্গে থাকা ৩ নিরাপত্তারক্ষী গুরুতর আহত হয়েছে। আমাকে আটকাতে ১০০ মিটার ছাড়া ছাড়া রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে।ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে না পৌঁছতে পারি, সবরকম চেষ্টা করেছে।

ডেটলাইন ত্রিপুরা

ত্রিপুরায় তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি নেই বলে ইতিমধ্যে ভাজপা নেতারা যে যুক্তি তুলে ধরেছেন, তার প্রেক্ষিতে অভিষেক যে রীতিমতো অংক কষে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সাম্রাজ্য বিস্তারে এসেছেন তা স্পষ্ট করে দিয়ে বলেন, ৮ টা জেলা ৫৮টা ব্লক এবং ৩০০০ বুথে এই বছরের শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি তৈরী হবে। ২ সপ্তাহের মধ্যে এসে কমিটি ঘোষণা করবো, বিপ্লব বাবুকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখান। প্রতিমাসে আমি তিন চারবার করে ত্রিপুরা আসবো। ত্রিপুরা গর্ভের দিন ফিরিয়ে আনার জন্য শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করব। তৃণমূল আসতেই এরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছে। আমরা এখানে সরকার খেলতে আসিনি। দিল্লির বিজেপি নেতারা যেভাবে এগিয়ে এসেছিল আমরা তা করবো না। ত্রিপুরায় ৬০ বিধানসভা আসন। পারলে পায়ের তলার মাটি সামলে রাখুন মুখ্যমন্ত্রী লেখার প্যাড ছাপিয়ে রাখুন। ত্রিপুরায় এবারে মা-মাটি-মানুষের খেলা হবে। কোন দলকে নয়, আমরা ত্রিপুরার মানুষকে প্রায়োরিটি দেবো। আমরা ০ থেকে শুরু করছি, মানুষের হয়ে আমরা লড়াই করবো।

বলির পাঁঠা বিপ্লব দেব

ত্রিপুরায় সিপিএম এর শাসনকালে এবং গত সাড়ে তিন বছরে বিজেপি জমানায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিপুল উন্নয়ন করেছেন সেই পন্যায়ন আমরা ত্রিপুরাতেও আনতে চাই। ত্রিপুরার আদিবাসী এবং সাধারন মানুষ এখনো বঞ্চিত। বিপ্লব বাবুকে তো বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। উনি দিল্লির তল্পিবাহক। ত্রিপুরার মানুষ কি চায় এরা জানে না। বাংলায় তো এবারে অনেক চেষ্টা করে তার পরেও গোহারান হারতে হয়েছে।আইপ্যাকের ২৩ জনের টিম এসেছিল গ্রাউন্ড ওয়ার্ক সার্ভে করতে। তাতেই ওরা ভয় পেয়ে গিয়েছে। যে হোটেলে আমাদের ছেলেমেয়েরা থাকছে সেই হোটেলের মালিক এবং ম্যানেজারদের চমকাচ্ছে। আমাদের সঙ্গে কেউ কথা বললে তাদের বাড়িতে বাড়িতে বাহিনী পাঠিয়ে হুমকি দিচ্ছে। ‌২০১৬ সালে আমি যখন ত্রিপুরায় এসেছিলাম তখন মানিক বাবুদের সরকার এত খারাপ ছিল না। বিজেপি এটা ভুলে গিয়েছে গণতন্ত্রে মানুষ হল গণদেবতা। ত্রিপুরায় তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এলে বাংলার মতো প্রত্যেক পরিবারকে নূন্যতম আয় হিসেবে ৫০০টাকা দেওয়া হবে। মা-বোনেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব আমরা। এখনকার মতো দুয়ারে গুন্ডা নয়, দুয়ারে সরকার পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করব আমরা।

বহু ভাজপা বিধায়ক কালিঘাটে গিয়ে মিটিং করেছেন

ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখানকার ভাজপা সরকার ফেলে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই জানিয়েও অভিষেক ভাজপা শাসিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ব্লাড প্রেসার বাড়িয়ে প্রকাশ্যে বলেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব শীঘ্রই ত্রিপুরায় আসবেন, তৃণমূল সর্বশক্তি নিয়ে ত্রিপুরায় ঝাঁপাবে। ত্রিপুরার প্রচুর বিধায়করা কলকাতায় গিয়ে আমাদের সাথে বৈঠক করেছেন। কোন কোন বিধায়ক এখান থেকে দিয়েছেন আমি তাদের নাম করে অস্বস্তিতে ফেলবো না। কিন্তু বিপ্লববাবু আগে-পিছে ডাইনে-বাঁয়ে যারা থাকেন তাদের মধ্যে অনেকেই যোগাযোগ রাখছেন এটুকু বলতে পারি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here