Last Updated on October 9, 2021 12:10 AM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। ২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেমিফাইনাল ম্যাচ হতে চলেছে ত্রিপুরার পুরসভা নির্বাচন। গত আগস্ট মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রিপুরায় তৃণমূলের আত্মপ্রকাশের পরে ভাজপা শাসিত ত্রিপুরায় প্রথম নির্বাচনে নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করতে চলেছে তৃণমূল। চলতি সপ্তাহেই ত্রিপুরার সাংগঠনিক নেতৃত্ব ঘোষণা করার পরে আজ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পৌরসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে দলের নেতাদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দিলেন। ত্রিপুরার যে ৫১ পুরসভায় তৃণমূলের করবে সেগুলিকে ভৌগোলিকভাবে মোট তিনটি জোনে ভাগ করে দিয়েছেন অভিষেক। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের যে স্টিয়ারিং কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে সেই কমিটিতে যুব সংগঠনের দায়িত্বে রয়েছেন ১১ জন ও মূল দলীয় স্টিয়ারিং কমিটিতে রয়েছেন ১৯ জন।
প্রবীণ ও নবীন নেতাদের সমন্বয়ে আজ দায়িত্ব ভাগাভাগি করে দেন অভিষেক। স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের পরে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, আমরা ঘরে বসে থেকে রাজনীতি করতে চাইনা। মানুষের কাছে যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেটা পূরণ করতে ব্যর্থ বিজেপি৷ আর পাশের রাজ্যে মানুষের কাছে মমতা বন্দোপাধ্যায় কীভাবে একাধিক সুবিধা পৌছে দিচ্ছেন তার ফারাক বোঝানো হবে। সুস্মিতা দেব এবং মামুন খানের উপরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পশ্চিম ত্রিপুরা এবং সিপাহীজলা জেলার। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা ও গোমতী জেলার দায়িত্ব দিয়েছেন প্রবীণ নেতা সুবল ভৌমিক এর উপরে এবং উত্তর ত্রিপুরার পাশাপাশি ধোলাই, খোয়াই এবং ঊনিকোটির দায়িত্ব দিয়েছেন আশিষ লাল সিংহের উপরে। ২০ অক্টোবর লক্ষ্মী পুজোর পরদিন অর্থাৎ ২১ অক্টোবর থেকে লাগাতার প্রচার কর্মসূচী শুরু করবে ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্ব। ত্রিপুরায় শেষবারের পৌরসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল সিপিএম তথা বামফ্রন্টের। কিন্তু পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ত্রিপুরা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে সিপিএম। তাই স্বাভাবিকভাবেই এবারের পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের লড়াই হবে প্রধান শত্রু ভাজপার সঙ্গে।