Last Updated on September 12, 2021 5:34 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। ভাজপার ডাবল ইঞ্জিনের যাদু। বিজ্ঞাপনের কারিকুরিতে চুরি করে কলকাতার মা ফ্লাইওভারকে বানিয়ে দিল উত্তরপ্রদেশের কানপুর। দেশ জুড়ে একাধিক সংবাদপত্রের পাতার পর পাতা জুড়ে যোগী আদিত্যনাথের আমলে উত্তরপ্রদেশে ভাজপা সরকার কি বিপুল উন্নয়নের কর্মকান্ড করেছে তার খতিয়ান দিতে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথ এর সঙ্গে ছবি দেওয়া হল আকাশচুম্বী হাইরাইজ বিল্ডিং এর পাশে অত্যাধুনিক ফ্লাইওভারের ছবি। ছবির সঙ্গে যে লেখা প্রকাশিত হয়েছে তার মূল বিষয়বস্তু যোগী আদিত্যনাথের আমলে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন। যোগী আদিত্যনাথের কর্মযজ্ঞের বিজ্ঞাপনে এবার স্পষ্টই উঠে এসেছে এক খণ্ড কলকাতা। আদিত্যনাথের ছবির নিচে যে শহরের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি কলকাতার। দেখা যাচ্ছে ইএম বাইপাসের ধারে কলকাতার দুটি হোটেলও। যদিও এই ছবিকে যোগীরাজ্যের বলেই দাবি করা হয়েছে। ওই বিজ্ঞাপনী ছবিতে মা ফ্লাইওভার, আইটিসি সোনার বাংলা ও জে ডব্লিউ ম্যারিয়টকে দেখা যাচ্ছে। এমনকী উড়ালপুলের উপরে কলকাতার সিগনেচার হলুদ ট্যাক্সিও দেখা যাচ্ছে ছবিতে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের ভাজপা শাসনে শিল্প স্থাপন এবং শিল্পোন্নয়ন বোঝানোর জন্য যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটিও স্পষ্টতই চুরি করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এইচ এস ই ভিশন নামের একটি বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে। বাংলার নির্বাচনের আগে ঠিক যেভাবে উজ্জ্বলা যোজনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিনামূল্যে গ্যাস কানেকশন পাওয়া এক মহিলার ছবি দেওয়ার পরে জানা গিয়েছিল তাঁর বাড়িতে গ্যাসের কানেকশন নেই, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তোলা তো দূরের কথা।
এর আগে বাংলার বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনের সময় বহুবার কখনো বাংলাদেশের আবার কখনোবা ভোজপুরি সিনেমার ছবি কে বাংলার দাঙ্গা অথবা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে প্রচার করে বাংলার-ছবি প্রমাণ করতে মাঠে নামার নজির ভাজপা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যেখানে বাংলায় ডাবল ইঞ্জিল ভাজপা সরকার গঠন করে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ সুনার বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেই বাংলার উন্নয়নের ছবিকে নিজেদের রাজ্যের বলে চালাতে গিয়ে গোটা দেশের সামনে কার্যত মুখ পুড়ল ভাজপার।
তবে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন যখন কার্যত দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে, সেই সময় ভাজপা শাসনে দেশের একের পর এক ডাবল ইঞ্জিন সরকার কিভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে অনুন্নয়নের ঠেলায়, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র নিন্দা এবং আক্রমণে নেমেছে তৃণমূল।
যোগী আদিত্যনাথের লজ্জা বোধ টুকুও চলে গেছে।