Last Updated on June 19, 2022 6:26 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। একটানা ১৬ দিন ধরে বন্ধ থাকার পর দলীয় নির্দেশে গত সপ্তাহে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয় খুলেছে। 16 দিন বন্ধ থাকার পর, স্বভাবতই পঞ্চায়েত অফিস থেকে শুরু হয়েছে জোরদার উন্নয়নমূলক কাজ।
প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতিতে ২৫টি উন্নয়নমূলক কাজের জন্য গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে টেন্ডার ডাকার কথা ছিল। টেন্ডারিং প্রক্রিয়ায় কিছু দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মানস ঘোষের বিরুদ্ধে। অনলাইনে নিয়ম মেনে পঞ্চায়েতের টেন্ডারিং প্রক্রিয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে।পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মানস ঘোষকে স্বচ্ছভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া করার আবেদন জানান রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।
এরপরেই ক্ষুব্দ হয়ে পঞ্চায়েত অফিসে তালা বন্ধ করে দেন মানস ঘোষ ও তার দলবলেরা। রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির কাজ কিছুদিনের জন্য হলেও স্তব্ধ হয়ে যায়। পঞ্চায়েত অফিসকে ঘুঘুর ভাষা বলে অভিযোগ করে, দ্রুত কার্যালয় খুলে দেওয়ার আবেদন জানান রায়গঞ্জের বিধায়ক। কিন্তু পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ ছিল একটানা ১৬ দিন। অভিযোগ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যখন মানুষের কাজ করাই একমাত্র লক্ষ্য, তখন কার নির্দেশে এতদিন পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ রাখা হল? দলীয় সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগারওয়াল এর কাছে দলের তরফে এই প্রশ্নের উত্তর চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল এর নির্দেশে রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মানস ঘোষ ও তার দলবল পঞ্চায়েত অফিসে তালা লাগিয়ে দেয় বলে সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বর্ষিয়ান বিধায়ক করিম চৌধুরী। এই প্রসঙ্গে ১১ বার এর বিধায়ক, জেলার সব থেকে বয়জ্যেষ্ঠ নেতা করিম চৌধুরী সরাসরি কানাইহালাল আগরওয়ালকে আক্রমণ করে বলেন, পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ রাখার পেছনে কার হাত আছে তা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে। কানহাইয়ালাল আগরওয়াল হোক বা মানস ঘোষ, মানুষকে পরিষেবা যে দেবে না, মানুষ তাদের মনে রাখবে না। দলনেত্রী এবং আমাদের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ, সব সময় মানুষের কাজ করে যেতে হবে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, এরপরেই উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় তৃণমূল জেলা সভাপতির ভূমিকা কী তাও খতিয়ে দেখছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বলে সূত্রের খবর। এই প্রসঙ্গে কানাইহালাল আগরওয়ালের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উত্তর দিনাজপুর তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আবেদন জানিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ থাকার জন্য সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। পঞ্চায়েত অফিস খোলার পর জোর কদমে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ চলছে।