Last Updated on April 11, 2023 9:26 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন।বাংলা বছরের শুরুর প্রথম দিন লক্ষ্মী-গণেশের পুজো দিয়ে খোলা হয় সারাবছরের বিকিকিনির হিসেবের নতুন খাতা।এই প্রথা ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের।কিন্তু আধুনিকতার প্রভাব পড়েছে এই লাল রঙের মলাট দেওয়া খাতাতেও।কম্পিউটারের যুগে এখন খাতায় নয়,বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই এখন হিসেব নিকেশ গচ্ছিত রাখছেন হার্ডডিস্কে।তাই বিক্রি কমেছে হালখাতার।কলেজস্ট্রিটে এই হালখাতার দোকানে নেই সেই চেনা ভিড়।ক্রেতাদের কথা অনুযায়ী,করোনার পর এই ডিজিটাল অভ্যাস রপ্ত করতে হয়েছে।কারন কম্পিউটারে লেখার দুটি গুন রয়েছে,একটি অনেক বছরের হিসেব হাতের মুঠোটে থাকে।তারই সঙ্গে সময় বেঁচে যায়।আমরা জানি,নববর্ষ মানেই হালখাতা,পঞ্জিকা, মিষ্টিমুখ আর নতুন জামার গন্ধ।
রাজ্যের ব্যবসায়ীদের কাছে এটি একটি আর্থিক বছরের সূূচনা বটে।তবে কম্পিউটারের যুগে হাঁসফাঁস হালখাতা।আর মাত্র কয়েকদিন।তারপরেই নববর্ষ। তার আগে মন্দা হালখাতার বাজারে।কয়েকবছর আগে একেকজন ব্যবসায়ী যেখানে লেজার, খতিয়ান, সপ্তাহের খাতা, মাসের খাতা, জাবদা মোটা খাতা ও কর্মচারীদের মাস মাহিনার হিসাব রাখার খাতা কিনত।এখন সেখানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী পাতলা খাতা কিনে হালখাতা সেরে ফেলছেন বলেই আক্ষেপ হালখাতা বিক্রির দোকানিদের।সেই চিত্রই দেখা গেল কলেজ স্ট্রিটের বাজারে হালখাতার দোকানে।জাবদা বিভিন্ন ধরণের খাতা দোকানে থাকলেও ক্রেতারা কিনছেন একদম পাতলা খাতা।
ওই দিয়েই হালখাতার নিয়মরক্ষা করে ব্যবসা চালাবেন তাঁরা।একজন বিক্রেতা জানিয়েছে,এখন হালখাতার হাল খারাপ হয়ে গিয়েছে।আগে একজন ক্রেতাকে কম করে ৬ থেকে ৭টি খাতা কিনতে হত।একটাতে সে তাঁর সাপ্তাহিক লেনদেনের হিসাব রাখত।আর একটাতে মাসিক লেনদেন করার হিসাব থাকত । দোকানে ও ব্যবসার কর্মচারীদের উপস্থিতি ও পারিশ্রমিকের হিসাব রাখার জন্য বড় মোটা জাবদা খাতা লাগত।এখন তো দোকানে এসে পাতলা একটা খাতা কিনে নিয়ে চলে যাচ্ছে।আগে লেজার খতিয়ান-সহ অনেক খাতা বিক্রি হত।এখন শুধু পুজো করার জন্যই পাতলা খাতা হলেই কাজ চলে যাচ্ছে তাঁদের।কম্পিউটারে হয়ে খাতার চাহিদা অনেক কমে গিয়েছে।