৩৬৫ দিন। বর্ধমান। অপারেশন করে রোগীর পেট থেকে ২৫০টি পেরেক, ৩৫টি কয়েন এবং বেশ কিছু পাথর কুচি বের করলো বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। রীতিমতো অবাক ডাক্তারবাবুরা। জানা যায়, পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কৃষ্ণবাটি গ্রামের বাসিন্দা বছর আটত্রিশের শেখ মইনুদ্দিন পেটে ব্যাথা হয়। তানিয়ে বাইরে চিকিৎসা করাছিল শেখ মঈনুদ্দিনের পরিবার। আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়া শেষেমেশ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই রোগীকে ভরতি করান পরিবারের লোকজন।
জানা যায়, বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে তিনি মানসিক রোগী। পরিবারের লোকেরা বর্ধমান হাসপাতালের মানসিক বিভাগে তাঁর নিয়মিত চিকিৎসা করান। এরমধ্যেই শেখ মঈনুদ্দিনের পেটে ব্যথা অনুভব করে। এবং তা পরিবারের লোকজনকে হাবভাবে ওই রোগী বোঝায়। এরপর মইনুদ্দিনকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার বর্ধমান শহর সংলগ্ন একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়।
বেসরকারি চিকিৎসকের পরামর্শে মইনুদ্দিনের এক্স-রে করা হয়। তখনই জানা যায়, তাঁর পেটে অসংখ্য পেরেক রয়েছে। কিন্তু নাসিংহোমে খরচ বহন করার মতো রোগীর পরিবারের ক্ষমতা নেই। শেষেমেশে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই রোগীর পরিবারের লোকজন রোগীকে ভরতি করান।
বুধবার সকালে মইনুদ্দিনকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা এক্স-রে করেন। তাঁকে ভর্তি করা হয়। রাতে অপারেশন করে তাঁর পেট থেকে ২৫০টি পেরেক, ৩৫টি কয়েন এবং বেশ কিছু পাথর কুচি বের করা হয়। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুঘন্টা ধরে অপারেশনের পর সাফল্য আসে ডাক্তারবাবুদের।
আপাতত তিনি সুস্থ। বর্ধমান হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, এই ধরনের অপারেশন বর্ধমান হাসপাতালের একটা বড় সাফল্য। রোগীর পরিবারের লোকজন ডাক্তারবাবুদের ধন্যবাদ জানান।