৩৬৫ দিন। বুধবার ভোররাতে হাতির হামলার ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ব্লকের লালগেড়িয়া গ্রামে। গ্রামবাসীরা যখন ঘুমে আচ্ছন্ন রয়েছেন বুধবার ভোর রাতে, ঠিক সেই সময় লালগেড়িয়া গ্রামে হাতি ঢুকে পড়ে। লালগেড়িয়া গ্রামের একটি বাড়ির মাটির দেওয়াল ভেঙে বাড়ির ভিতরে থাকা ধান ও চালের বস্তা বের করে খায়। বাড়ির দেওয়াল ভেঙ্গে পড়ার শব্দে ঘুম ভেঙে যায় পরিবারের। তারপর চোখের সামনে দেখে গজরাজ দাঁড়িয়ে রয়েছে, চালের বস্তা নিয়ে তান্ডব শুরু করেছে।
যার ফলে ওই বাড়ির লোকেরা কোনক্রমে হাতির হামলায় হাত থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। বুধবার ভোর রাতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় লালগেড়িয়া গ্রামে একটি হাতি। গ্রামে তান্ডব চালিয়ে বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি হাতি ভেঙ্গে দেয় বলে গ্রামবাসীরা জানান। যেভাবে গ্রামে ঢুকে হাতি তান্ডব শুরু করেছে তাতে যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। খাবারের সন্ধানে জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে হাতি, কখনো মাঠে গিয়ে সবজি চাষের জমিতে তান্ডব চালাচ্ছে, কখনো বা লোকালয়ে গিয়ে বাড়ি থেকে ধান চালের বস্তা বের করে খাচ্ছে ।
বন দপ্তরকে এলাকার বাসিন্দারা বিষয়টি জানিয়েছেন। ওই এলাকায় কয়েকটি হাতি রয়েছে। প্রতিনিয়ত লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে সেই হাতিগুলি, যার ফলে যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। সন্ধ্যা হলে বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারছেন না। জরুরি কাজ থাকলেও মানুষ ঘর থেকে বের হতে না পারায় যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে যাদের বাড়ি ঘরের ক্ষতি করেছে হাতি তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে ওই এলাকার গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সন্ধে ছটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত জঙ্গল এলাকার রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে। বাড়িতে মদ রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। মদ খেয়ে বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে হাতিকে উত্তপ্ত করতেও নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু যেভাবে খাবারের সন্ধানে গ্রামে হাতি ঢুকে পড়ছে তাতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
বুধবার ভোরে হাতির তাণ্ডবে কোনক্রমে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন কয়েকজন গ্রামবাসী। যার ফলে লালগেড়িয়া গ্রামজুড়ে হাতির হামলার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।