Last Updated on April 9, 2023 9:42 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন।সেল সেল সেল।কানে বাজছে চিৎকার।বাই ওয়ান গেট ওয়ান নাহলে ৫০ শতাংশ ছাড়।হাতিবাগান থেকে ধর্মতলা কিংবা গড়িয়ায়াহাটে শুদু কালো মাথা।উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়।গরমকে তোয়াক্কা না করে সেলের বাজারে কেনাকাটার ধুম।চৈত্র সেলে ফের বাজার জমার আশায় ব্যবসায়ীরা। মাস পয়লা পড়ে গিয়েছে। মানে বেতন হয়ে গিয়েছে অফিসের বাবুদের। আর মাইনে পকেটে আসতেই রবিবারের সেলের বাজার ছিল বেশ জমজমাট।ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামনে পয়লা বৈশাখ তো রয়েইছে। সঙ্গে শুরু রমজান মাস। ইদের কেনাকাটাও এই সময়ই শুরু হয়ে যায়। আগামী কয়েকদিন বাজার তাই বেশ ভালই হবে বলে মনে হচ্ছে।করোনার আবহে সেই ২০২০ থেকেই কেনাকাটায় মন ছিল না বাঙালির।ব্যবসা মন্দা থাকায় নতুন মাল তোলেননি দোকানদাররাও।
গত বছর পুজো এবং চৈত্র মাসেবাজারের হাল কিছুটা ফিরলেও পুরনো স্টক দিয়েই ক্রেতা টেনেছেন দোকানদাররা।কিন্তু এবার চৈত্র সেলে অনেক নতুন ডিজাইনের পোশাকই রয়েছে গড়িয়াহাট থেকে ধর্মতলা, নিউমার্কেট থেকে শ্যামবাজারের দোকানে।বাড়তি পাওনা ডিসকাউন্ট।কোনও দোকান দিচ্ছে কেনাকাটায় ছাড়, কোথাও আবার দু’টোর সঙ্গে একটা ফ্রি-র অফার রয়েছে। শপিংমলগুলোতও বেশ ভাল ভিড়ই নজরে এসেছে।কনফেডারেশন অফ ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানা গিয়েছে,এবার চৈত্র সেলের বাজার খুব ভাল হবে,আশা করা যায়।
করোনাতঙ্ক কাটিয়ে গত বছর থেকেই বাজার বেশ ভাল।তাছাড়া জিএসটি কালেকশন হয়েছে।তাতেই তো বোঝা যাচ্ছে, সব বাজারই দিন দিন ভাল হচ্ছে।প্রসঙ্গত,করোনার সময়ে বহু মানুষের চাকরি চলে গিয়েছিল, অনেকের আবার মাইনে কমেছিল।ফলে পুজো বা নতুন বছরে নতুন জিনিস কেনাকাটা সাধারণ মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তের কাছে কিছুটা ছিল বিলাসিতাই। তবে করোনার তৃতীয় ঢেউ কাটতেই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে গত বছর থেকেই।কেনাকাটাতেও ঝোঁক বেড়েছে মানুষের।অনলাইন তো রয়েইছে,সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষ ছুটছেন শপিং মল থেকে হকারপট্টি, সর্বত্রই।বড়বাজারের হোলসেলাররাও জানাচ্ছেন, বাজারে এবার ডিমান্ড এসেছে নতুন পোশাকের।করোনার দু বছর যে দোকানদার নতুন কোনও শার্ট তোলেননি, সেই দোকানদারই এবার চৈত্র সেলেই দেড় হাজার পিস শার্ট তুলেছেন।