Last Updated on July 8, 2021 5:37 AM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন । লন্ডন। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে ইংল্যান্ড। এদিন ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ডেনমার্ক কে কঠিন লড়াইয়ে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করল হ্যারি কেন, রাহিম স্টার্লিং, রাইসরা। দুর্দান্ত ফ্রি-কিক ডেনমার্ক কে এগিয়ে দিয়েছিলেন
দ্যামসগার্ড। কিন্তু চেষ্টা জারি রেখেছিল ইংল্যান্ড। কেন পাস করেন সাকাকে। তিনি রহিমের উদ্দেশ্যে বল বাড়ালে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন ডেনমার্ক অধিনায়ক সিমন। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়। মনে হচ্ছিল হয়তো আবার একটা টাইব্রেকার হতে চলেছে। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে পেনাল্টি আদায় করে নেন রহিম স্টার্লিং। ভিডিও রেফারেল দেখে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। ডেনমার্ক গোলরক্ষক ক্যাসপার স্কি মিচেল হ্যারি কেন এর শট আংশিকভাবে বাঁচিয়ে দেন। কিন্তু ফিরতি বল ছিটকে বেরিয়ে এলে জালে পাঠাতে ভুল করেননি ইংলিশ অধিনায়ক। এই নিয়ে মেজর টুর্ণামেন্টে ১০ গোল হয়ে গেল তার। কিংবদন্তি ইংলিশ স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকার কে স্পর্শ করলেন তিনি।
কিন্তু সেটা তুচ্ছ ব্যাপার। উৎসবের রাতে নতুন ইতিহাসের সাক্ষী থাকল লন্ডন। ইটস কামিং হোম। সামনে শুধু ইতালি। ইতিহাস হাতছানি দিয়ে ডাকছে ইংরেজদের।১৯৯২ সালে শেষবার ইউরোপ সেরা হয়েছিল ডেনমার্ক। এদিকে ১৯৬৬-র পর এই প্রথম ইউরো ফাইনালে ইংল্যান্ড।
এদিনই টুর্নামেন্টে প্রথম গোল হজম করল ইংল্যান্ড। তবে আলাদা করে বলতে হয় রহিম স্টারলিংয়ের কথা। গোটা ইউরোতে ইংল্যান্ডের এমন সাফল্যের পিছনে তাঁর অবদান অনেকটাই। মাঝমাঠের গেমচেঞ্জার হয়ে রয়েছেন তিনি। আর হ্যারি কেনের প্রশংসা তো করতেই হয়।প্রথমে গোল করেছিল ডেনমার্ক। এর পর আত্মঘাতী গোল হজম করে তারা। একস্ট্রা টাইমে পেনাল্টি থেকে গোল করেন হ্যারি কেন। আর গোল শোধ দিতে পারেনি ড্যানিশরা।প্রথম গোল দেওয়ার পরই রক্ষণাত্মক খেলতে শুরু করে ডেনমার্ক। চলতি ইউরোতে এতটা রক্ষণাত্মক হয়তো আগে কোনও ম্য়াচে খেলেনি তারা। কিন্তু এদিন উল্টোদিকে ইংল্যান্ড ছিল বলেই হয়তো এমন রক্ষণাত্মক খেলছিল ড্যানিশরা।ইংলিশ কোচ সাউথ গেট আনন্দে উপরে তুললেন দুই হাত। একে একে ফুটবলাররা জড়িয়ে ধরলেন তাকে। ইংরেজ ইতিহাসের খেলাধুলার অন্যতম নজিরবিহীন রাতে এই মানুষটার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। একটা দল হিসেবে ইংল্যান্ড যে পারফরম্যান্স বজায় রেখে চলেছে তাতে রবিবার ফেভারিট ইতালির বিরুদ্ধে যদি জিতে মাঠ ছাড়ে তারা তাহলে অঘটন বলা যাবে না। ফাইনালে পৌঁছে উচ্ছ্বাসে ভেসে যেতে রাজি নয় ইংল্যান্ড দল। বরং ফোকাস ঠিক রাখছে তারা।