৩৬৫দিন। ক্রিকেটীয় শক্তির বিচারে ডেভিড বনাম গোলিথের লড়াই ভারত বনাম আয়ারল্যান্ড। তাছাড়া প্রথম ইনিংসে ২২৭ রান তোলার পর ভারতের জয় নিয়ে সন্দেহ ছিল না। প্রশ্নটা ছিল আয়ারল্যান্ড কত ওভার খেলতে পারে। কিন্তু তাদের দুজন ওপেনিং ব্যাটসম্যান পল স্টারলিং এবং অ্যান্ডি ব্যালবার্নি যেভাবে শুরু করলেন দেখে মনে হচ্ছিল ভারতের কপালে দুঃখ আছে। ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম ওভারেই স্টার্লিং ১৮ রান নিলেন।
এরপর একাধিক আক্রমনাত্মক শট খেলতে দেখা গেল তাকে। ব্যক্তিগত ৪০ রানের মাথায় রবি বিষ্ণুইয়ের বলে বোল্ড হয়ে গেলেন। কিন্তু অধিনায়ক ব্যালবার্নি লড়াই চালালেন। ৬০ রান করে আউট হলেন হর্ষলের বলে। নয় ওভারে ১০০ তুলে ফেলেছিল আয়ারল্যান্ড। এদিন দেখার ছিলউমরান মালিক ওভার বল করেন। তাকারের উইকেট নিলেন।
তবে বেশ কিছু ওয়াইড বল করলেন। গতি অবশ্য ১৪৫-১৪৬ কিলোমিটার রাখলেন। কিন্তু এরপর টেকটর এবং ডকরেল মিলে আবার আইরিশদের লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনলেন।এত রান করেও ভারতকে এত চাপের মধ্যে থাকতে হবে বোঝা যায়নি। শেষ পর্যন্ত ভুবনেশ্বর আউট করলেন টেকটরকে (৩৯)।
আসলে ছোট মাঠ এবং তার সঙ্গে আইরিশ ক্রিকেটারদের লড়াই ভারতের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল।শেষ ওভারে জয়ের জন্য আইরিশদের প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। হার্দিক পান্ডিয়া, বল তুলে দিলেন উমরান মালিকের হাতে। দেখার ছিল এই চাপ তিনি সামলাতে পারেন কিনা। দ্বিতীয় বল নো বল করলেন উমরান। তৃতীয় বলে বাউন্ডারি খেলেন। চতুর্থ বল ইয়র্কার। শেষ পর্যন্ত ভারত জিতে গেল ৪ রানে।