Last Updated on July 12, 2021 5:36 AM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন । লন্ডন: নিজেদের ঘরের মাঠ ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে আজ ইংলিশ দর্শকরা যে দ্বাদশ ব্যক্তির কাজ করবে জানাই ছিল। ৬০,০০০ দর্শক ভর্তি মাঠে প্রথম থেকেই ফ্রন্টফুটে শুরু করল ইংল্যান্ড। ৩-৪-২-১ ফর্মেশন এ দল সাজিয়েছিলেন সাউথগেট। অর্থাৎ মিডফিল্ড শক্তিশালী করে। মাঝখানে দুই ইংলিশ মিডফিল্ডার রাইস এবং ফিলিপস ইতালির ভেরাটি,জর্জিনহোদের বলের দখল নিতে দিচ্ছিলেন না। শুরুতেই চমক ইংল্যান্ডের। দু মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে গেল ইংলিশ দল। হ্যারি কেন একটা বল ধরে বাড়িয়ে দিলেন ডানদিকে। ট্রিপিইয়ার মাপা ক্রস রাখলেন দ্বিতীয় পোস্টের দিকে। ইংলিশ লেফট ব্যাক লুক শ সবার চোখের আড়ালে পেছন থেকে উঠে এসে ভলি মেরে এগিয়ে দিলেন ইংল্যান্ডকে। প্রথমার্ধ দাপট ছিল ইংলিশদের। ইতালি বিশেষ বলের দখল নিতে পারছিল না। কিছুই করতে পারলেন না ইতালি স্ট্রাইকার ইমমোবাইল। মানচিনি দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নামিয়ে দিলেন বেরারদি এবং ক্রিসটানতেকে। ম্যাচে ফেরা শুরু করল নীল জার্সিধারীরা।
৬৭ মিনিটে কর্নার থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনেন ডিফেন্ডার বনুচি। এই সময় পুরো খেলার দখল ছিল ইতালির পায়ে। ইংল্যান্ড ট্রিপিইয়ারকে তুলে নিয়ে নিয়ে এল সাকাকে। কিন্তু তাতে দাপট কমেনি ইতালির। ৮০ মিনিটে গোড়ালিতে আঘাত পেয়ে বেরিয়ে যেতে হয় ইতালির কিয়েসাকে। যতক্ষণ মাঠে ছিলেন ইংলিশ ডিফেন্ডারদের চাপে রেখেছিলেন। স্টারলিং একবার দুর্দান্ত সলো রানে ইতালির বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত ইতালির প্রাচীর ভাঙতে পারেননি। ভেরাটি প্রথমার্ধে চুপচাপ থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে প্রচুর ওয়র্কলোড নিলেন। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের ওয়াকার বিপদজনক হতে দেননি ইতালির উইঙ্গার ইন্সিগনেকে। ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। বেলোটি এবং লোকতেল্লিকে নিয়ে এলেন মানচিনি। গ্রিলিশ, স্যঞ্চো, রাশফোর্ডকে নামাল ইংল্যান্ড। ভিআইপি বক্সে ডেভিড বেকহ্যাম, টম ক্রুজ, প্রিন্স উইলিয়ামদের মত নামিদামি মানুষের উপস্থিতি। ম্যাচের ভাগ্য ছিল দুই গোলরক্ষক পিকফোর্ড এবং দোনারুম্মার হাতে।
স্পেনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্রেকারে সামলাতে হওয়ায় অ্যাডভান্টেজ কিছুটা হলেও ছিল ইতালির পক্ষে। বারেদি গোল করলেও ইতালির হয়ে মিস করেন বেলোটি। ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন এবং হ্যারি ম্যাগুর গোল করলেও মিস করেন রাসফর্ড। বার্নদেশি গোল করেন ইতালির হয়ে। সঞ্চোর শট বাঁচিয়ে দেন ইতালির গোলরক্ষক। কিন্তু ইতালির হয়ে আবার মিস করেন জর্জি নোহ। কিন্তু অ্যাডভান্টেজ রাখতে পারল না ইংল্যান্ড। তরুণ সাকা আবার ইতালির গোলরক্ষকের হাতে মেরে বসলেন। ইউরোপের ইতিহাসে এই প্রথমবার এক টুর্ণামেন্টে একটি দল দুটি ম্যাচ টাইব্রেকারে জিতল। ইতিহাস তৈরি করল আজুরিজ। দর্শক ভর্তি ওয়েম্বলি মন খারাপ করে বাড়ি ফিরল। ৫৫ বছর পর ইতিহাসের কাছাকাছি এসেও খালি হাতে ফিরতে হল ইংরেজদের। হার না মানা মনোভাব এবং অদম্য লড়াই করে ৫৩ বছর পর দ্বিতীয়বার ইউরোপ সেরা হল ইতালি।