Last Updated on September 17, 2020 11:14 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। সামান্য ফিটনেস সমস্যা ছিল। মাঝের কয়েকদিনের অনুশীলনে যে অনেকটাই ফিট হয়ে উঠেছেন সেটা প্রমাণ করলেন লিওনেল মেসি। বল পায়ে মাঠে তিনি নিজে একটা চুম্বক এর মতো আবারো দেখালেন আর্জেন্টাইন তারকা। কাল রাতে লা লিগার প্রস্তুতি ম্যাচে জিরোনাকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। প্রীতি ম্যাচ বলেই সবার আগ্রহটা হয়তো একটু কম ছিল। কিন্তু মেসির জন্য তো ম্যাচটা ছিল নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ। বার্সা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মেসি। তাতে সৃষ্ট নানা জটিলতায় সিদ্ধান্ত পাল্টে থেকে যাওয়ার কথা জানিয়ে দেন। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। দারুণ বোঝাপড়ায় প্রথম গোলটা ২১ মিনিটেই পেয়ে যায় বার্সা। মাঝমাঠে মেসি ও ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাওয়ের ‘মুভ’ ছিল দেখার মতো। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের পাস থেকে কুতিনিও শুধু গোলের আনুষ্ঠানিকতাই সেরেছেন। তবে এ ম্যাচের সেরা আকর্ষণ ছিল মেসির ডান পায়ে করা গোলটি। সহজ কথায় চোখে লেগে থাকার মতো গোল। মাঠের বাইরে বার্সার সঙ্গে সমস্যা মাঠের ভেতরে পারফরম্যান্সে যে কোনো প্রভাব ফেলেনি কাল তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মেসি। বল নিয়ে ঘুরে পেছনে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে প্রথমে ছিটকে ফেলেন মেসি। এরপর ডান পায়ের চকিত শটে বল পাঠান জালে। জিরোনা গোলরক্ষক ঝাপিয়ে পড়ার সুযোগটুকু পর্যন্ত পাননি। বলটা রকেটের গতিতে গোলপোস্টের ভেতরে লেগে ঢুকে পড়ে জালের মধ্যে। বার্সায় থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর মেসির প্রথম গোলটাই হল মনে রাখার মতো। এমনিতে সবাই তাঁকে বাঁ পায়ের ফুটবলার বললেও ডান পায়েও যে এমন শট নিতে পারেন তা দেখালেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কয়েক বছর আগে রোনাল্ডোর সঙ্গে মেসির তুলনা করতে গিয়ে পেলে বলেছিলেন রোনাল্ডো উপায় গোল করতে পারে। হেডেও সেরা। সেখানে মেসি বাঁ পায়ের ফুটবলার, ডান পা চলে না, হেড দিতে অভ্যস্ত নন। প্রস্তুতি ম্যাচে মেসির এই গোলটা নিশ্চিত দেখেননি পেলে। দেখলে হয়তো নিজের মত বদলাতেও পারতেন। ডাচ কোচ কয় মান বার্সিলোনার পারফরম্যান্সে প্রচন্ড খুশি নন, তবে দলটা যে ধীরে ধীরে দানা বাঁধছে, সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি। মেসির গোলটা দেখে উচ্ছ্বসিত তিনি। আরেকটু ফিটনেস বাড়াতে পারলে মেসি যে আগের মতই ভয়ংকর হবেন সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন ডাচ কোচ। মেসি, কুটিনহো এবং ফ্রেঙ্কি দে জং,এই ৩ জন ফুটবলারের ওপর বিশেষ দায়িত্ব থাকবে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বার্সেলোনার নতুন হেডস্যার।