Last Updated on January 22, 2021 10:48 PM by Khabar365Din

রাজনৈতিক প্রতিবেদন
৩৬৫ দিন। লােকসভা ভােটে সিপিএমের কোনও ঝুঁকি ছিল না। যেন তেন প্রকারে তৃণমূলকে হারানােই ছিল একমাত্র লক্ষ্য। লােকসভা ভােটের আগে থেকে তাই শুরু হয়েছিল বামরাম জোট। নদিয়া, শিলিগুড়ি পথ দেখিয়েছিল। পার্টির রাজ্য কমিটি বারবার রিপাের্ট করা সত্ত্বেও সম্পাদকমন্ডলী ছিল নীবর, যাকে বলে নীবর সমর্থন। বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, অশােক ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে সুজন চক্রবর্তী, তন্ময় ভট্টাচার্য নীবরে বামরাম জোটকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। চিরশত্রু মমতাকে হারানােই ছিল একমাত্র লক্ষ্য। বামের ২২ পার্সেন্ট ভােট রাতের অন্ধকারে গিয়ে পড়ল রামের ঘরে। রাতারাতি বিজেপি নিজস্ব ৭-৮ পার্সেন্ট ভােট নিয়ে ৩০ এ পৌছল। ফল হল শূন্যবাম। গত সপ্তাহে সম্পাদকমন্ডলীতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকা সিপিএমের অন্য সুর শােনা গেল। বলাবাহুল্য এবার তারা স্টেকহােল্ডার অথচ বামের নিজস্ব ভােট রাম থেকে ফিরতে না পারলে যাদবপুর থেকে সুজন চক্রবর্তীকে হেরে যেতে হবে। এরপর যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে পার্টিতে নতুন প্রােগ্রাম নেওয়া হয়েছে। প্রােগ্রামের নাম ‘বাড়ি বাড়ি/ কাস্তে হাতুড়ি। প্রতিটি জেলা কমিটিকে বলা হয়েছে বামমতাবলম্বী ভােটারদের বাড়ি বাড়ি যান তাদের বোেঝান বামের ভােট বামের বাক্সে ফেরত আনতে হবে। তৃণমূল বিরােধী একটি ভােটও ভাজপাতে গেলে বামেদের অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে। যেসব বামপন্থী ভােটার বাড়ি এই প্রস্তাবে সায় দেবেন তাদের বাড়ির সামনে স্টিকার লাগানাে হবে ‘বাড়ি বাড়ি/ কাস্তে হাতুড়ি। তার প্রথম পর্যায়ে তিনটি জোনে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, শিলিগুড়ি, বারাকপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। প্রসঙ্গত গত লােকসভা ভােটে শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি বুথে সিপিএম একটি ভােটও পায়নি, এমনকি পােলিং এজেন্টের ভােটও রামে গিয়েছেন। এবার আতঙ্কিত অশােক ভট্টাচার্য সহ স্বয়ং পলিটব্যুরাে বামের ভােট এবার বামের বাক্সে এটাই এই বছরের স্লোগান।