Last Updated on March 4, 2021 8:09 PM by Khabar365Din
অভিজিৎ অধিকারী
৩৬৫ দিন। কীর্তনীয়াদের ঘোর দুঃসময়। চিনা লাইট, চিনা মাঞ্জার মতো বাংলায় আমদানি হচ্ছে ভাজপায়ী কীর্তন। এই কীর্তনে রাধা কৃষ্ণ আছে বটে, তবে তা ভোজপুরি ভাষায়। বাংলায় যারা কীর্তন গেয়ে সংসার ধর্ম পালন করেন, তাদের ওই ভোজপুরি ভাষার জ্ঞান কি আছে? কিন্তু নেই বললে আর বোধহয় চলবে না। বাংলায় বাংলাতে কীর্তন গাওয়া বারণ হলো বলে! জৌনপুর, বৈশালী, আলিগড়, ছাপড়া জেলা থেকে ভাজপার সব কীর্তনীয়া নেতারা বাংলার মঞ্চে উঠে পড়েছে। তারা এখন খোল-করতাল বাজিয়ে দেশোয়ালি ভাষায় রাধা কৃষ্ণ গাইছে। ভাজপার যে নেতা বাংলার দায়িত্বে, সেই বিজয়বর্গীয় কীর্তনে নাকি দেশে ভারী নামডাক। খোল করতাল তার চোস্ত হাত। গলাটা বেসুরে হলে কি হবে, দরদ আছে তার চোদ্দআনা। একসময় নাকি অষ্টপ্রহর সংকীর্তনে তিনি বেজায় নাম করেছিলেন। বাংলায় দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি ভাজপার জন্য খুঁজে খুঁজে এমন নেতা জোগাড় করেছেন যারা তার সঙ্গে সঙ্গত করতে পারে। একবার বললেই, জামা খুলে গায়ে চাদর জড়িয়ে, গলায় গাদা ফুলের মালা পরে, পায়ের নিচে খোল কোলে নিয়ে বসে পড়বে। পুরো দেশিতে তাই এখন আর হবে না, ইমপোর্টেড মিকশ্চার লাগবে। ভোজপুরি সঙ্গে হতে হবে বাংলার ফিউশন। তাই ভারী দুর্দিন আসতে চলেছে বাংলার ঐতিহ্যশালী কীর্তন সমাজের। যারা বংশপরম্পরায় রাধা কৃষ্ণ লীলা কীর্তন গেয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাপণ করতেন, তাদের সাবধান হতে হবে। ভাবতে হবে, এই নতুন ভোজপুরি কীর্তনকে আটকানোর উপায়। মাথায় রাখতে হবে কেন্দ্রীয় শাসক দল ভাজপা এই কীর্তন দলের স্পনসর। এদের অনেক টাকা। এরা চাইলে রাধা কৃষ্ণ সংকীর্তন কিনে অন্য বাজারে মোটা দামে বেচে দিতে পারে। এখানকার ভাজপা নেতা বিজয়বর্গীয় নিজে সংকীর্তন করলেও তার বাপ ঠাকুরদা বানিয়া।