Last Updated on April 19, 2021 9:53 PM by Khabar365Din

টিম খবর ৩৬৫ দিন
৩৬৫ দিন। মধ্যবিত্ত বাঙালি দার্জিলিং বা পুরী বেড়িয়ে আসার পর প্রতিবেশীদের যে প্রশ্নগুলির সামনে পড়েন, তার প্রথমটা হলো, ঠান্ডা কেমন? এবং, তারপর অবশ্যম্ভাবী প্রশ্ন, খরচাপাতি কেমন হলো? আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালির মনেও সেই একই প্রশ্নের উদয় হয়েছে। বাংলায় মমতাকে হারাতে ভাজপার খরচাপাতি কেমন হচ্ছে? খরচাপাতি যে বিপুল হচ্ছে তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। কিন্তু তার পরিমাণটা ঠিক কত? বোঝার জন্য এখানে কিছু তথ্য দেওয়া হলো মাত্র। এবার আপনারাই বিচার করুন খরচাপাতি কেমন পড়ছে। আকাশপথে দিল্লি-কলকাতা যাতায়াতের খরচের হিসাবটুকু দিয়ে শুরু করা যাক। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানাচ্ছে, নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে গত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১৭০ থেকে ১৮০টি চার্টার্ড বিমান দিল্লি থেকে কলকাতায় নেমেছে এবং ৪০ থেকে ৫০টি হেলিকপ্টার। এই সমস্তই ভাজপার পয়সায়। চার্টার্ড বিমানের ভাড়া ১০ লক্ষ টাকা সঙ্গে জিএসটি এবং হেলিকপ্টারের ঘন্টায় ভাড়া এক লক্ষ টাকা সঙ্গে জিএসটি। মনে রাখতে হবে, হেলিকপ্টার ভাড়া করলে তার টেক অফ টাইমের মূল্য দিতে হয়। সেটা আগে ও পরে এক লক্ষ টাকা করে। অর্থাৎ, ৫ মিনিটের জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া করলে ভাড়া হয় তিন লক্ষ টাকা। বেশি ভগ্নাংশের হিসেবে না গিয়ে ধরে নেওয়া যেতে পারে, ভাজপা বাংলার মন জয় করতে আকাশপথেই ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এর ওপর রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সফরের খরচ। এ খরচ অবশ্য তার দল ভাজপা দিচ্ছে না। ভাজপার জন্য মমতাকে হারাতে দিচ্ছেন দেশের করদাতারা। প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যাবেন, তা যদি উনি বেড়াতেও যান, তার জন্য যা খরচ হবে তা যোগাবে সরকার। দলের প্রচার এর জন্য এলেও প্রধানমন্ত্রীর জন্য সর্বদাই সরকারি কোষাগার উন্মুক্ত। এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী যতবার বাংলায় এসেছেন সরকারি চার্টার্ড বিমানে, দুটি হেলিকপ্টার সঙ্গে নিয়ে তাতে ওই নির্ভরযোগ্য সূত্র হিসেব কষে জানাচ্ছেন, তার জন্য প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা খরচা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কোথাও আসা মানে সে এলাহি ব্যাপার, রাজসূয় যজ্ঞের মতোই। সেই যজ্ঞের খরচখরচার বহর শোনাতে বসলে প্রিয় পাঠকের মাথা ভোঁ ভোঁ করবে। তাই শুধু আপনার করের টাকায় সরকারি কোষাগার থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাংলা জয়ের আকাশপথে যাত্রার খরচটুকুই জানান হলো। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমস্ত বিষয় তার পূর্বসূরীদের রেকর্ড ভেঙেছেন। এই যেমন স্বাধীনতার পর এখনও পর্যন্ত কোনও প্রধানমন্ত্রী তার দলের প্রচারে কোনও রাজ্যে এতবার (প্রায় প্রতিদিন) যাননি। সরকারি কোষাগার থেকে এর আগে শুধু আকাশপথে যাওয়ার জন্য আড়াইশো কোটি টাকা খরচ হয়নি।